তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ নির্বাচনী প্রতিক পাওয়ার সাথে সাথেই বরগুনার তালতলী উপজেলার শারিকখালীর রাজনীতির মাঠে বইতে শুরু করেছে এখন নির্বাচনী হাওয়া। আসছে ১৬মার্চ ২০২৩ শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে মাঠ জরিপে এগিয়ে রয়েছেন আ’লীগের বিদ্রোহী সতন্ত্র(আনারস প্রতিক) প্রার্থী শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন বাবুল হাওলাদার । চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাটে-বাজারে, বিভিন্ন অফিসে, বাড়িতে-গাড়িতে, পাড়ায়-মহল্লায়, আলফায়, অটোতে, টমটমে, রিকসায়, ভ্যানে, দোকানে, খোলার মাঠে, বাস্তায় হাটার পথে কিংবা আড্ডায় সবখানেই এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু! কে হতে চলেছেন আগামী ৫ বছরের জন্য শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান।ইউনিয়নটির উত্তর ও পূর্বে পার্শবর্তী জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের বর্ডার এলাকা এবং দক্ষিনে নীল গঞ্জের আন্দার মানিক নদী বেষ্টিত এলাকা হওয়ায় বহিরা শত্রুর আক্রমন থেকে রক্ষা করে ইউনিয়ন বাসীর সব ধরণের নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে থাকে এই ইউনিয়ন পরিষদ। যা সম্পূর্ন সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার করার দায়িত্ব থাকে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর। যার কারনে শারিকখালীর ইউপি চেয়ারম্যান পদটি আ’লীগের জন্য মুর্খ বিষয়। তবে ইউপি নির্বাচনে বিভিন্ন ইস্যুতে এগিয়ে রয়েছেন জাকির হোসেন বাবুল হাওলাদার। ব্যক্তিগত ইমেজের কারনে ইউনিয়ন বাসীর কাছে তিনি জনবান্দব হিসেবে পরিচিতি। তেমনি তরুনরাও তাকে জনবান্দব হিসেবে উপাধি দিয়েছেন। শারিকখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন বাবুল হাওলাদার শুধু একজন নেতা নয়, তিনি সত্যিকার অর্থে একজন চেইঞ্জ মেকার। একটি দেশের সার্বিক ও সুষম উন্নয়ন তখনই ঘটে যখন দেশের অবহেলিত অজপাড়াগায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের উন্নয়নে উদ্ভাবনী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। স্থানীয় সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ সেই কাজ সঠিকভাবে করতে সক্ষম হবে বলে আমরা মনে করি। আসছে আগামী ১৬ মার্চ শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগনের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুল হাওলাদার।‘‘আমরাই গরবো আগামীর ডিজিটাল শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদ”স্লোগানে শারিকখালীবাসীর হৃদয়ে স্বপ্নের জাল বুনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। জাকির হোসেন বাবুল হাওলাদার অন্য সকল ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের থেকে একটু ব্যাপক পরিসরে (আনারস প্রতিক নিয়ে) নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ ঠিকানা না হলেও বর্তমানে অত্র ইউনিয়নের সাধারন মানুষ এখন তাকে ‘চেয়ারম্যান’বলেই সম্বোধন করে আসছে। নির্বাচনী প্রচারে সারাক্ষন ব্যাস্ত থাকার পরেও সাধারন মানুষ আপদে-বিপদে, সুখে-দুঃখে, ছুটে যায় দ্রুত তার কাছে। জাকির হোসেন বাবুল হাওলাদারও নিরাশ করেন না বিপদে পড়া তার প্রিয় শারিকখালী ইউনিয়নবাসীকে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে জাকির হোসেন বাবুল হাওলাদার তার বিজয় ও ২০১৮ সালের দলের পক্ষে কাজ করে আবুল বাসার তালুকদারের বিজয় অর্জনকে জাকির হোসেন বাবুল হাওলাদার একটি অভিজ্ঞতা হিসেবেই বেছে নিয়েছেন। শারিকখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বাবুল হাওলাদার এর এখন দিনভর সময় কাটে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে। বাবুল মনে করেন, আমি একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার দাদা, বাবা সবাই সাবেক কড়ইবাড়িয়া বর্তমানে শারিকখালী ইউনিয়নের মাটিতে রাজনীতি করেছেন। আমিও তাদের মোটেই বাহিরে নই। আমি কোন হিংসা-বিদ্দেশ, হানা-হানি, মারা-মারি আর প্রতি হিংসার রাজনীতি বা কুট রাজনীতি বুঝি না। ওই রাজনীতি অমি কখনও করতেও চাই না। দেশ ও শারিকখালী বাসীর উন্নয়নের জন্য কোন কাজকেই আমি ভয় পাই না। তাছাড়া পাওয়ার কোন কারনও নাই। আমি সাধারন জনগনের মাঝেই থাকতে চাই। সাধারন জনগন আমাকে ভালোবাসে বিশ্বাস করে, আমার উপর তাদের আস্থা রাখে। আমি জনগনের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়েই রাজনীতিতে সামনের দিকে এগিয়ে এসেছি। শমারিকখালী ইউনিয়নের সাধারন জনগনের পবিত্র ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব, হতে চাই। মানুষের ভালোবাসাকে জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন মেনে নিয়ে বাবুল তার বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চান শারিকখালী ইউনিয়নের সাধারন মানুষের কল্যাণে।